১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিচ্ছে সৌদি!
সাস নিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সৌদি আরব ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ নিতে যাচ্ছে। ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধে জগানো এবং তেলের বাজার পড়ে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে এ ঋণ নিচ্ছে দেশটি।
বুধবার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
সৌদি আরব তেল রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ। গত ১৫ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঋণ নেওয়ার ঘটনা সৌদি সাম্রাজ্যের জন্য এটিই প্রথম।
ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে অবহিত এমন তিন সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, পাঁচ বছরের জন্য এ ঋণ নেওয়া হবে। এ মাসের শেষের দিকে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হবে। ওই তিন সূত্র আরো জানিয়েছে, মার্কিন, ইউরোপীয়, চীনা ও জাপানি ব্যাংক সৌদি আরবকে ঋণ দিচ্ছে।
বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আস্বাভাবিকভাবে পড়ে যাওয়ায় রাজস্ব সংকটে পড়ে সৌদি আরব। ২০১৪ সালে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম প্রায় ১০০ ডলার কমে যায়। এখনো ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলার কমে অপরিশোধিত তেল বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় বাজেট কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তারা বিকল্প অর্থের সন্ধান করছে, যেন ধাক্কা সামাল দেওয়া যায়।
২০১৫ সালে ৯৮ বিলিয়ন বাজেট ঘাটতি দেখা দেয়, যা সৌদির ইতিহাসে রেকর্ড ঘাটতি। এ বছর শেষে বাজেট ঘাটতি হতে পারে ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, তেলের বাজার পড়ে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি মেটানো হয়েছে সাম্রাজ্যের গচ্ছিত রাজস্ব থেকে। দিন যতই যাচ্ছে গচ্ছিত রাজস্ব কমে আসছে। ২০১৪ সালে সৌদি আরবের গচ্ছিত রাজস্ব ছিল ৭৩২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালের শেষে যা ৬১১.৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এ বছরের শেষে তা আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজস্ব ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে বিকল্প অর্থের সন্ধান করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বৈদেশিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে বন্ড ছেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার জোগাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
রাজস্ব ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য সেবা খাতে ভর্তুকি কমিয়েছে সৌদি আরব। এ ছাড়া কয়েকটি বড় প্রকল্প ও বেসরকারিকরণ উদ্যোগে ভাটা পড়েছে।
সোমবার সৌদি আরব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ‘ভিশন’ ঘোষণা করেছে। এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ‘ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রাম’। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তেলের বিকল্প অর্থের উৎস খোঁজা হবে। তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্যান্য খাত থেকে আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, সৌদির মোট রাজস্বের ৭০ শতাংশ আসে তেল খাত থেকে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন