ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সফরকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ : দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা
সাস নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যেকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের দ্রুত প্রসার ঘটছে। অগ্রসরমান এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো জোরদারে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াংয়ের সফরকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।এ লক্ষ্যে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সুবিধাদি এবং বাংলাদেশী রফতানি সম্ভাবনাময় পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
রোববার বিকেলে ভিয়েতনাম প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াং তিনদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর পত্নী রাশিদা খানম দাই কুয়াং দম্পতিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনা জানান।
গত এক বছরের ব্যবধানে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রায় ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে ৯শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বণিজ্য হয়। চলতি বছর বাংলাদেশ এই বাণিজ্য ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। এ বিষয়ে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সায়মা নাজ বাসসকে বলেন, ‘ভিয়েতনাম প্রেসিডেন্টের সফরে আমাদের মূল ফোকাস থাকবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়ন। দু’দেশের বাণিজ্যকে আমরা এবছরের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই।’
তিনি বলেন,বাংলাদেশে ১শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমি জোন) হচ্ছে। সেখানে কর অবকাশসহ বিভিন্ন বিনিয়োগ সুবিধা থাকছে। ভিয়েতনাম কৃষি, পর্যটন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরসহ বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাময় খাতে এখানে বিনিয়োগ করতে পারে। এ বিষয়গুলো ভিয়েতনাম প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান।
প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে সেদেশের ৬০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে।
রাষ্ট্রদূত সায়মা নাজ জানান,২০১৭ সালের প্রথম দশ মাসে বাংলাদেশ ভিয়েতনাম থেকে ৭২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। পক্ষান্তরে রফতানি করেছে মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলারের।ফলে দু’দেশের মধ্যে বড় ধরনের বাণিজ্যিক ব্যবধান রয়ে গেছে।বাংলাদেশ এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামে চামড়া, ওষুধ এবং পাটের ব্যাগের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তারা যেসব দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে- আমরা সেখানে তুলনামূলক কম মূল্য এই পণ্যগুলো আরো বিশ পরিমাণে বাংলাদেশ থেকে আমদানির প্রস্তাব দিবো।’
এর পাশাপাশি চামড়া, ওষুধ ও পাট খাতে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের যৌথভাবে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ভিয়েতনাম থেকে মূলত সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্যালসিয়াম, কম্পিউটার, পোল্ট্রি ও মাছের খাবার, কার্বোনেটসহ প্রায় ৮০টি পণ্য আমদানি করা হয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ওযুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাট পণ্য রফতানি করে থাকে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন