ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে দারুচিনি
স্বাস্থ্য ডেস্ক: দারুচিনিকে আমরা মসলা হিসেবেই চিনি। খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধে আলাদা মাত্রা যোগ করতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দারুচিনি। বিশেষ করে যে কোনো গোশত রান্নায় দারুচিনির গুঁড়ো কিংবা আস্ত দারুচিনি না দিলে তরকারির সাধই পাবেন না।
তাছাড়া মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার যেমন সেমাই, পায়েশ, হালুয়া, মিষ্টি ইত্যাদি খাবারে দারুচিনি ব্যবহার না করলে কোনো স্বাদ কিংবা সুন্দর গন্ধ ফুটে ওঠে না। শুধু রান্নায় নয়, শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই দারুচিনির অনেক উপকারিতা রয়েছে। দারুচিনি সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ভেষজ। দারুচিনিতে রক্তের শর্করা রোধকসহ অসাধারণ ঔষধি গুণাবলি রয়েছে যা, প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়ুবিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা করে। চলুন তাহলে জেনে নেই দারুচিনির উপকারিতা সম্পর্কে-
দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খুব উপকারী। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী উপাদান হিসেবে দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
দারুচিনি অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি খাবার। আর এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতেও এই মসলা বেশ কার্যকর। যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাবারের তালিকায় দারুচিনি রাখতে পারেন, কারণ দারুচিনি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং হজমে সাহায্য করে। আর তাই এ উপাদান দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। মানুষের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে দারুচিনির কিছু উপাদান। যারা প্রতিদিন দারুচিনি খেয়ে থাকেন তাদের স্মরণশক্তি তীক্ষè হয়ে থাকে।
দারুচিনি পেটের জন্য ভীষণ উপকারি। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে এবং পেটের ব্যথা উপশম করে। এসিডিটি রোধ করতে, মধুর সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে খেলে এসিডিটি ভালো হয়ে যায়। দারুচিনির নানাবিধ উপাদান আমাদের দেহের ক্যান্সার, টিউমার এবং মেলানমাস রোগ প্রতিরোধ করে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন