নানা রোগের উপশমকারী কুমড়া বীজ
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শাকসবজির মধ্যে মিষ্টি কুমড়া অতি পরিচিত একটি সবজি। কুমড়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। তবে আমরা কুমড়া খেলেও এর বীজগুলো ফেলে দিই। আপনি হয়তো জানেন না, কুমড়ার মতোই এর বীজও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, জিঙ্কের মতো একাধিক উপাদান থাকে। তাই এর বীজ ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি :
কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট সবসময় পরিষ্কার রাখে। যাদের মধ্যে এনার্জির মাত্রা কম থাকে, তাদের জন্য কুমড়ার বীজ অত্যন্ত উপকারী।
এই বীজ গ্রহণের ফলে শরীরে রক্ত এবং এনার্জি বাড়তে সহায়তা করে। কুমড়ার বীজ হার্ট স্বাস্থ্যকর ও সচল রাখতে খুবই উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং স্ট্রোক থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক। প্রস্টেট গ্রন্থি ঠিক রাখে কুমড়ার বীজ, যা পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মিনারেল এবং জিঙ্ক প্রস্টেটের বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করে। হাড়ের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের সমস্যা নিরাময়েও সহায়তা করে।
কুমড়ার বীজ ইনসুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পুরুষের জন্য বিশেষ উপকারী কুমড়ার বীজ। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকায় এটি জিঙ্কের অভাবজনিত রোগ নিরাময় করে। পুরুষের মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতি হলে, অকাল পুরুষত্বহীনতা, ইত্যাদি দেখা দেয়। জিঙ্কের ঘাটতির ফলে মেল সেক্সুয়াল হরমোন টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমতে শুরু করে, যার ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশান হতে পারে! কুমড়ার বীজ খেলে সে ক্ষমতা উন্নত হয়। এটি ফার্টিলিটি এবং ড্রাইভ বৃদ্ধি করে। অনিদ্রার সমস্যা থেকে স্বস্তি এ বীজে সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন