প্রধানমন্ত্রীর দেশ ও বিদেশে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি আহ্বান
দেশ ও বিদেশে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করুন। কোন দেশে কোন পণ্য প্রয়োজন সেটা বুঝে, তা আমাদের দেশে যেন উৎপাদন হয়, সে ব্যাপারে আপনারা কাজ করবেন—সেটাই আমরা চাই।’
বিশ্বের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে যখন বৈশ্বিক অর্থমন্দা দেখা দেয়, তখন সবাই আশঙ্কা করেছিল আমাদের রপ্তানি কমে যাবে। কিন্তু আমি বলেছিলাম কমবে না। কমে নাই।’ বিএনপি-জামায়াতের ‘নাশকতামূলক’ কর্মকাণ্ডের সময় আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কৃষিপণ্যের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষিপণ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে যদি আপনারা শিল্প গড়ে তোলেন, এই মার্কেট কিন্তু কোনো দিন সংকুচিত হবে না। এই মার্কেট আমার নিজের দেশেও বাড়বে। আবার বিদেশেও আপনি পাবেন। সেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে আপনারা উদ্যোগ নেন। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব, এই আশ্বাস আমি দিতে পারি।’
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সার্বিক সাফল্য ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেহেতু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার একটাই হলো—ব্যবসা-বাণিজ্য আস্তে আস্তে আপনাদের চিটাগংয়েই চলে আসবে বলে আমি মনে করি। তাতে আমি খুশিই হব। কারণ চিটাগংয়ের সঙ্গে আমার আলাদা সম্পর্ক। বলতে পারেন ছোটবেলা থেকেই দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে এই চট্টগ্রামে আসি।’ এরপর তিনি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও চট্টগ্রাম চেম্বারের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন ও শত বর্ষ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডারদের সম্মেলন এবং নবম টাইগার্স রিইউনিয়ন উপলক্ষে পুনর্মিলনী প্যারেড অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, কদমতলী উড়ালসড়ক, বাইপাস রোডের নির্মাণকাজ এবং রিং রোডের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন