‘ঠিকমতো ওষুধও কিনতে পারি না!’
নিজস্ব প্রতিবেদক: হাঁপানি আছে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। প্রতি মাসে ৫টি গ্যাস লাগে। প্রতিটি গ্যাসের দাম ২৫০ টাকা। আর ওষুধ লাগে ১০ দিন পরপর ৪০০ টাকার। পত্রিকার হকারি করে কোনোমতে বেঁচে আছি। ঠিকমত ওষুধ কিনতে পারি না। এভাবে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন বান্দরবান শহরের ষাটোর্ধ হকার মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ আলী জেলা শহরে পত্রিকা বিক্রি করেন। গভীর রাতে প্রেসগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে সারা দিনের নানা ঘটনা নিয়ে দৈনিক পত্রিকা ছাপাতে। সেই ছাপা পত্রিকা কয়েকটি হাত ঘুরে সকাল হতেই চলে আসে জেলা শহরে। পত্রিকা এজেন্টদের কাছে পৌঁছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে হকাররা। এরপর তারা পত্রিকা নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। লকডাউনের মধ্যে বান্দরবান শহরে পত্রিকা বিক্রি তেমন নেই। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হকাররা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
বান্দরবানের সাব এজেন্ট নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২৫ মার্চের আগে বান্দরবান শহরে কমপক্ষে ৩০টি দৈনিক পত্রিকা আসতো। এখন অধিকাংশ পত্রিকা আসে না। যা আসে তা বিক্রি করে যা কমিশন পান, তা দিয়ে সংসার চলে না। এই সময়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন