জন্মহার সবচেয়ে কমেছে জাপানে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে শিশু জন্মের হার। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে শিশু জন্মহার কমেছে ২.৮ শতাংশ। যা ১৮৯৯ সালের পর থেকে জাপানে সর্বনিম্ন জন্মহার।
জাপানে বিয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে ধারণ করা হচ্ছে। জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, গত বছর দেশটিতে ১২.৩ শতাংশ কমেছে রেজিস্ট্রেশনশৃত বিয়ের সংখ্যা। এছাড়া জাপানে শিশু জন্মদানে সক্ষম এমন নারীর সংখ্যা ১.৩৪ শতাংশ কমেছে। এ সংখ্যা পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন।
গত কয়েক বছর ধরেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী জাপানে। ফলে দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছে অনেকে। জাপানকে বলা হয় সুপার এজড জাতি। কারণ এখানকার ২০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৬৫ বছরের ওপরে। ২০১৮ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪০ লাখ। তবে ২০৬৫ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়াতে পারে আট কোটি ৮০ লাখে।
পার্শ্ববর্তী দেশ দক্ষিণ কোরিয়াও জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে লড়াই করছে। দেশটিতে গত বছর জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার ছিল বেশি। এছাড়া সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীনেও কমতির দিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার।
চলতি বছরের মে মাসে সরকারি হিসাব মতে, ১৯৬০ সালের পর থেকে চীনে জনসংখ্যা উৎপাদন সর্বোচ্চ হারে হ্রাস পেয়েছে। ফলে দুই সন্তান নীতি থেকে বেরিয়ে এবার তিন সন্তান নীতি গ্রহণ করল দেশটি। ২০১৫ সালে চীনে এক সন্তান নীতি থেকে বেরিয়ে আসলেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি দেশটির জনসংখ্যা। চীনের সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্যমতে, গত বছর চীনে এক কোটি ২০ লাখ শিশু জন্ম নিয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন