এবার বাড়তে শুরু করেছে মসলার দাম -ঈদ সামনে রেখে আবার বাড়ার শঙ্কা
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: আসন্ন পবিত্র কুরবানী সামনে রেখে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে শুকনা মরিচ, জিরা, দারুচিনি, ধনিয়া, হলুদ, বাদাম, লবঙ্গ। বেড়েছে মসুরের ডালের দামও।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার মূল্যবৃদ্ধি, কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধিকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ডলার স্থিতিশীল না হলে কুরবানীর ঈদ সামনে রেখে দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আর বাজার তদারকি না থাকার কারণেই পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার এবং ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ জায়েদী বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি নির্ভর মসলাগুলোর দাম বেড়েছে। রমাদ্বান শরীফের পর থেকে মসলা জাতীয় পণ্যে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫০ টাকারও বেশি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লেই দেশের বাজারে দাম বাড়ে। ডলারের দাম বৃদ্ধি ও চাহিদা বেশি যোগান কম থাকার কারণেও দাম বাড়ে। এছাড়া কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধিও মাসলার দাম বাড়ার কারণ।
তিনি বলেন, ডলার স্থিতিশীল না হলে ঈদ সামনে রেখে মসলার দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে আমদানি পণ্য দেশে আনতে খরচ বেশি পড়ছে। কনটেইনার ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে।
বাজারের সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বাজার তদারকি না থাকার কারণেই ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো মুনাফা করছেন। যে যেভাবে পারছেন দাম বাড়াচ্ছেন। মসলার বেশ কিছু আইটেমের দাম কোনো কারণ ছাড়াই বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত অতিরিক্ত মুনাফা করতেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কে কীভাবে মানুষের পকেট কাটতে পারে তা নিয়ে। শুকনা মরিচ তো দেশি পণ্য। এটা তো আমদানি করতে হয় না। অথচ এটারও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসন চুপ হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার মাঠে ছিল, মিসগাইড করে তাদের কার্যক্রমকেও দমিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তাদেরকে বিভিন্নভাবে চাপে রাখছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ যদি বাজার মনিটরিংয়ে না থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো মুনাফা করবে। সবমিলিয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন