ঋণের বোঝায় বিপাকে কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারিভাবে লকডাউন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের কৃষক। কড়াকড়িতে মৌসুমের উৎপাদিত ফসল কোথাও সরবরাহ করতে পারছেন না তারা। পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গড়ে ওঠা এই জেলার বিরাট অংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সরকারি ভাবে আরোপ করা বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। গত দশ দিন আগে যে শসা বিক্রি হতো কেজি ৮-১০ টাকা দরে, তা এখন নেমে এসেছে দেড়-দুই টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজধানীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ক্রেতাশূন্য হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার শসার বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের। একদিকে মহাজনের হালখাতা অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে নেয়া ঋণের বোঝা নিয়ে এখন চরম হুমকির মুখে তারা।
সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকার কৃষক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ভালো দাম পাবার আশায় অনেক যতেœ ৪০ শতক জমিতে শসার আবাদ করেছি। অথচ, যেই দাম তাতে এক কেজি গরুর গোশত খেতে চাইলে ৭-৮ মণ শসা বিক্রি করতে হয়। তারপরও স্বপ্ন দেখি বাজার ভালো হবে। তাই ঠিকমত পরিচর্যা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরী এলাকার কৃষক মুস্তাকিম আলম বলেন, একর প্রতি শসার আবাদে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে এখন হতাশায় দিন পার করছি।
হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানীপাড়া এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ মণ শসার দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। অথচ ক্ষেত থেকে তুলতেই মজুরি খরচ যায় ৪০০ টাকা।
স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ বলেন, প্রতি বছর এ এলাকার উৎপাদিত ফসল নিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক ব্যবসায়ী আসে। কিন্তু এবছর যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তারা আসতে পারে নাই। এছাড়াও বাইরের শহর গুলোও এখন ক্রেতাশূন্য।’
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন