চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: আমের নতুন মুকুলে মুকুলে ভরে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার আম বাগানগুলো। এবার কিছুটা আগে ভাগেই শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। আর কিছুদিন পরেই দেখা মিলবে গুটি আমের।
চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় আম গাছগুলো ভেঙে পড়ছে মুকুলের ভারে। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে বাগান পর্যন্ত সব জায়গায় শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। মৌ-মৌ গন্ধে ভরিয়ে তুলছে চারদিক। বাধভাঙা মুকুলে খুশি আমচাষিরাও। এখন চলছে পরিচর্যা। আর কিছুদিন পরই দেখা মিলবে গুটি আমের।
শহরতলী বেলগাছী এলাকার আমচাষি হাশেম ম-ল জানান, মাঘের শেষভাগ থেকেই তারা আম বাগান পরিচর্যা করতে ব্যস্ত রয়েছে। এবার তার বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমের মুকুল এসেছে। অপেক্ষা শুধু আশানুরুপ ফলনের।
দীননাথপুর গ্রামের আম বাগান মালিক রবিউল হক জানান, এ বছর জেলার প্রতিটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ আমের মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সর্বোচ্চ ফলন সম্ভব হবে। এজন্য তারাও পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর জানান, রাজশাহী অঞ্চলের পরেই এ অঞ্চলের আম সুস্বাদু ও প্রসিদ্ধ। বিশেষ করে এখানকার হিমসাগর আমের বেশ সুনাম রয়েছে। এবার আমের ফলন যথেষ্ট হলে তা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
গতবছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৮শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। এবছর তার মাত্রা বেড়ে ১৯শ ৫০ হেক্টর আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন