অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১০ বছরে ৪১ রায়, ৬ ফাঁসি কার্যকর
নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১০ বছরের ৪১ টি মামলার রায় দিয়েছে। বর্তমানে প্রাক-বিচার, বিচার পর্যায়ে রয়েছে ৩৪ টি এবং রায়ের জন্য অপেক্ষমান আছে একটি মামলা। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ১১টি মামলার রায় দেওয়ার পর ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুই ট্রাইব্যুনাল একীভূত করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
২৩ মার্চ এক প্রবন্ধে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক ও তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অন্যান্য আদালত/অ্যাডহক/হাইব্রিড ট্রাইব্যুনালসমূহের তুলনায় আমাদের উভয় ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ১০বছরে ৪১টি মামলা নিষ্পত্তি আপাতদৃষ্টিতে বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই চরম সত্য ও বাস্তবতা। জাতীয়-আন্তর্জাতিক নানামুখী ও বহুরূপী চাপ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার এই অর্জন অবশেষে সম্ভব হয়েছে। বিবর্তিত আন্তর্জাতিক আইন বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত হয়ে সকল পক্ষই এগিয়ে গেছে দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে। ট্রাইব্যুনালসমূহ এবং আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে গিয়ে আসামিপক্ষে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু আইনিপ্রশ্নের নিষ্পত্তি ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা করেছে।
ওইসব আইনি প্রশ্নেরনিষ্পত্তি ও ব্যাখ্যা দেশীয় আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ বিচারের ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে উদাহরণ ও নজির সৃষ্টি করেছে, সমৃদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক আইন বিজ্ঞানকে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, একাত্তরের অপরাধীদের বিচারে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ‘দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্টস, ১৯৭৩ পাস হয়। আর ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। এ টাইব্যুনালে ৪১ টি মামলার রায় হয়েছে। অনেক অপরাধীর দ-ও কার্যকর হয়েছে। এতে আপামর জনসাধরণের মতো আমরা প্রসিকিউশন টিমও সন্তুষ্ট।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন