স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিমানের স্মার্ট কিছু উদ্যোগ
শফিউল আজিম : বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে প্রথম অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিমান পরিবহণের শুভ সূচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পের সঙ্গে সংগতি রেখে এবং তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিমানের সব কার্যক্রমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার সমন্বয়, যাত্রীসেবা, ফ্লাইট অপারেশন ও সার্বিক এয়ারলাইন্স পরিচালনার গুণগত মান উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ‘স্মার্ট এয়ারলাইন্স’ করার পরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান আছে। স্মার্ট টিকিটিং সিস্টেম-কম্পিউটারাইজড এয়ারলাইন্স রিজার্ভেশন সিস্টেম, Sabre PSS বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীর টিকিট ক্রয় থেকে শুরু করে যাত্রার সমাপ্তির সব কার্যক্রম যুগোপযোগী ও যাত্রীবান্ধব হয়েছে। বিমানের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, কল সেন্টার, বিমান সেলস সেন্টার, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিসহ (OTA) সব DS/ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সম্মানিত যাত্রীরা বিমানের যে কোনো ফ্লাইটের সময়সূচি ও প্রাপ্যতা যাচাই, পছন্দের আসন বুকিং ও ক্রয় করা এবং ওয়েব চেক-ইন করতে পারেন। এছাড়া রয়েছে বিমানের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্যোগ।
ইন্টিগ্রেটেড পেমেন্ট সিস্টেম : ৩৪টি ব্যাংকিং চ্যানেলের Visa/Master/Amex, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, আই-ব্যাংকিং ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম, ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঘরে বসে Website ও Call Center-এর মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করা যায়। এছাড়া ক্রয়কৃত টিকিটের তারিখ পরিবর্তন ও অতিরিক্ত ব্যাগেজ অ্যালাউন্স ক্রয় করা যায়। এছাড়া IATA Financial System-এর মাধ্যমে যাত্রীরা বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারেন। বিমান IATA-এর স্মার্ট উদ্যোগ ব্যবহার করে প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমের (BSP, ICCAS, CASS, ICH, IBCS, ASD, ARC সিস্টেম) মাধ্যমে ক্রয়কৃত টিকিটের পেমেন্ট নিষ্পত্তি করে থাকে। যা VERDI সিস্টেমের মাধ্যমে অটোমেটেড অডিট করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন স্মার্ট সলিউশনের সফল বাস্তবায়ন-ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন স্মার্ট সলিউশনের সফল বাস্তবায়ন করে বিমান ‘National Carrier’ হিসাবে বাংলাদেশ এভিয়েশন ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিমানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় IATA Billing Settlement System (BSP), IATA Currency Clearance System (ICCS), Cargo Accounting Settlement System (CASS), IATA Clearing House (ICH), IATA BSP Consulter System (IBCS), Air Desk Seminar (ADS) Ges Airline Reporting Corporation (ARC) দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে বিশ্বের অন্যান্য স্বনামধন্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে আছে। যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সময়ে সঠিক উড়োজাহাজ নির্ধারণ, ডেটানির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ, দক্ষ অপারেশন এবং গ্রাহকের সম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণে বিমান IATA-এর Direct Data Solution (DDS) চালু করেছে। Direct Data Solution (DDS) সিস্টেমের Big Data টেকনোলজি ব্যবহার করে তথ্য-উপাত্তের সাহায্যে মার্কেট রিসার্চ করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত দ্রুত ও সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
ডিজিটাল গ্রাহক সেবা : Sabre ডিপার্চার কন্ট্রোলের সহযোগিতায় বিমান একটি প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের চেক-ইন সম্পন্ন করা ও ভ্রমণকারীর গন্তব্য দেশের নিয়ম অনুসারে প্যাসেঞ্জার APIS সিস্টেমের মাধ্যমে অগ্রিম তথ্য প্রেরণ করা হয়, যা তাকে গন্তব্য দেশে প্রবেশে সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জন্য ‘ওয়েব চেক-ইন’ সেবা চালু রয়েছে। যার ফলে যাত্রীরা নিজেদের মোবাইল অ্যাপস ও ওয়েবের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে ফ্লাইট চেক-ইন করতে পারেন। বিমানের রিজার্ভেশন সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন করে প্যাসেঞ্জার নোটিফিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্লাইটের তারিখ ও সময় পরিবর্তিত হলে দ্রুততার সঙ্গে ই-মেইল ও বাংলাদেশি মোবাইল নম্বরে এসএমএস প্রদান করে সম্মানিত যাত্রীদের অবহিত করা হয়। যার ফলে যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
স্মার্ট কল সেন্টার : সম্মানিত যাত্রীদের সার্বক্ষণিক সেবার জন্য বিমান ১৩৬৩৬ শর্ট কোডের মাধ্যমে স্মার্ট Call Center চালু করেছে। যাত্রীরা স্মার্ট Call Center-এর মাধ্যমে নতুন টিকিট ক্রয়, টিকিটের তারিখ পরিবর্তন ও অন্যান্য সেবা পেয়ে থাকেন। স্মার্ট Call Center সঙ্গে ভিসা, মাস্টার, এমেক্স কার্ড, বিকাশ, নগদসহ প্রায় সব ধরনের কার্ড এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে যা বাংলাদেশে এই প্রথম।
অপারেশনে প্রযুক্তিগত ইন্টিগ্রেশন : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসাবে জার্মানির লুফথানসা সিস্টেমের বিশ্বখ্যাত ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন ‘LIDO Flight 4D’ চালু করা হয়েছে। ডেটা ইন্টিগ্রেশন করে NOTAMs, AIP ও ATM সীমাবদ্ধতাকে একটি ডিজিটাল, মেশিন-পাঠযোগ্য বিন্যাসে রূপান্তরের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (AI) ও মেশিন লার্নিং (ML) টেকনোলোজি ব্যবহার করে ‘LIDO Flight 4D’ সফটওয়্যারটি নিখুঁত এবং সাশ্রয়ীভাবে ফ্লাইট প্ল্যানিং করে থাকে। ‘LIDO Flight 4D’ এয়ারলাইন্সের অপারেশনাল দক্ষতা এবং নিরাপত্তা উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে সাশ্রয়ীভাবে ফ্লাইট প্ল্যানিং করার মাধ্যমে জেট ফুয়েল খরচসহ বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয়ী করে। সফটওয়্যারটি নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে নতুন রুট সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিমান বহরে বর্তমানে মোট ছয়টি অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের বোয়িং ৭৮৭-৮/৯ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট আছে, যা e-Enabling বা ডিজিটাল এয়ারক্রাফট। অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের বোয়িং ৭৮৭-৮/৯ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফটে ২০ হাজার ফুট ওপরে আকাশ থেকে Internet, XPhone ও Live TV পরিষেবা গ্রহণ করা যায়। এসব অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের বোয়িং-এ অপটিক্যাল কেবলের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং করা আছে, তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সার্ভার ও যন্ত্রাংশ পরিচালনার জন্য সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে। বিমানে দক্ষ Engineer অপটিক্যাল কেবল, সার্ভার ও সফটওয়্যার পরিচালনা এবং অন্যান্য উড়োজাহাজ মেরামতের কারিগরি দক্ষতা অর্জন করায়, ইতোমধ্যে পাঁচটি বোয়িং ৭৮৭-৮/৯ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফটের ‘সি-চেক’ সফলভাবে পরিচালনা করেছে যার মাধ্যমে প্রতিটি ‘সি-চেক’-এ ২০ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হয়।
ডেটা-পরিচালিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ : Big Data, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে ফ্লাইট প্রফিটেবিলিটি বৃদ্ধি করার জন্য Revenue Management System-এর মাধ্যমে টিকিটের বিভিন্ন আরবিডি (রিজার্ভেশন বুকিং ডেজিগনেটর) নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া Revenue Integrity সিস্টেমের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং টেকনোলজি ব্যবহার করে বিভিন্ন ‘ব্যাড-বুকিং’ ও বিমানের টিকিট বিক্রয় পলিসিবহির্ভূত বুকিংগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিজার্ভেশন সিস্টেম থেকে মুছে ফেলা হয়। ফলে টিকিটের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পায়।
টেকসই উদ্যোগ : স্মার্ট ডিভাইস (বডি ক্যামেরা) যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাগেজ পরিষেবার আধুনিকায়ন ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ৫এ টেকনোলজি ব্যবহার করে বডি ক্যামেরাসহ অন্যান্য পরিষেবার আরও আধুনিকায়ন ও সেন্ট্রাল মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের কাজ চলমান আছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে কার্গো পরিষেবাগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে বিমান একটি স্বয়ংক্রিয় কার্গো ব্যবস্থাপনা এবং ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করার পথে রয়েছে।
স্মার্ট ব্যাক অফিস : বর্তমানে বিমানের Back Office-এর প্রকৃতি data processing-এর জন্য RAPID, Cargo Data Processing-এর জন্য Cargo Spot System দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া Routine Performance Evaluate করার নিমিত্তে Finess FPS System-এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ব্যবস্থাপনাকে লাভজনক রুট চিহ্নিতকরণসহ রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। এছাড়া Cargo Handling সেবার বিলিং পদ্ধতি ও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে Fineness MBS System ব্যবহার করে ICH বিলিং কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। এছাড়া বিশ্বের স্বনামধন্য Acceleya Compaû-এর Revenue MST System Air RM ব্যবহার করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনাসহ যাত্রীপ্রতি রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বুকিংয়ের সব ধরনের অনিয়ম রোধকল্পে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এজেন্ট কর্তৃক টিকিট ভাড়া কম দেখিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে বিমানের আর্থিক ক্ষতি বন্ধে বিশ্বের স্বনামধন্য IATA Strategic Partner Accelya হতে VERDI নামক সিস্টেম যা Sales Audit (BIDT)-এ যুগান্তকারী সিস্টেম। সিস্টেমটি এ পর্যন্ত টিকিটের আর্থিক অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রায় ইউএসডি ৩.০০ মিলিয়ন ডলারের সাশ্রয় করেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। কর্মীদের দক্ষতা মূল্যায়ন এবং উন্নয়নের জন্য একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবেশবান্ধব এয়ারলাইন হিসাবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সংস্থাটি যাত্রীদের জন্য একটি স্মার্ট লয়্যালটি প্রোগ্রাম চালু করেছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত যাত্রীরা বিশেষ সুবিধা এবং অফার উপভোগ করতে পারেন, যা যাত্রীদের সঙ্গে সংস্থার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করে। এ সংস্থা বিভিন্ন মোবাইল ওয়ালেট সেবা যেমন বিকাশ, নগদ এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করেছে, যা যাত্রীদের জন্য টিকিট ক্রয় এবং অন্যান্য পেমেন্ট কার্যক্রম আরও সহজ করেছে। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে যাত্রীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে তারা নিয়মিত ফ্লাইট তথ্য, প্রমোশন এবং অন্য আপডেট প্রদান করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন প্রজন্মের এয়ারক্রাফটগুলোতে উন্নত ইনফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম (IFE) ইনস্টল করা হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট অভিজ্ঞতাকে আরও মনোরম করে তোলে। এ সংস্থা যাত্রীদের জন্য রিয়েল-টাইম ফ্লাইট ট্র্যাকিং সেবা চালু করেছে। যাত্রীরা তাদের ফ্লাইটের বর্তমান অবস্থান এবং সময়সূচি সহজেই ট্র্যাক করতে পারেন, যা তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা আরও সহজ করে তোলে। সংস্থাটি বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম (CSR) গ্রহণ করেছে, যা সমাজের কল্যাণে ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত। এ সংস্থা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে, যা তাদের প্রযুক্তিগত ও অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়েছে। সংস্থাটি ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং পরিষেবার উন্নয়নের জন্য তাদের নিজস্ব গবেষণা দল কাজ করছে।
বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা উন্নত করার জন্য নতুন প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে, যা বিমানের পরিষেবা দক্ষতা ও যাত্রী সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করেছে। স্মার্ট এয়ারলাইন উদ্যোগের অংশ হিসাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে ডিজিটাল সেবা চালু করা হয়েছে, যেমন বায়োমেট্রিক চেক-ইন, স্বয়ংক্রিয় বোর্ডিং গেট এবং ডিজিটাল ব্যাগেজ ট্র্যাকিং।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। জাতীয় বাজেটে বিমানের জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না। অর্থাৎ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পূর্ণ নিজস্ব আয়ে পরিচালিত একটি সংস্থা। এ সংস্থা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় করেছে। পাশাপাশি বিমানের নিজস্ব আয় থেকে বহরে থাকা উড়োজাহাজগুলোর কিস্তি পরিশোধসহ লিজে থাকা কয়েকটি উড়োজাহাজও ক্রয় করেছে, যা বিমানের আর্থিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। দূরদর্শী পরিচালনা-পর্ষদ, নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, দক্ষ ও কর্মঠ জনবল, আধুনিক উড়োজাহাজ, ডিজিটাল সেবার অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে সংস্থাটি হয়ে উঠেছে যাত্রীবান্ধব ও স্মার্ট এয়ারলাইন্স।
শফিউল আজিম : সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন