রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নিশা দিশাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করেন। এরপর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। নিশা দিশাই টুইট বার্তায় এসব বৈঠকের পর জানান, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দুই দেশের অংশীদারিত্ব, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছি।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নিশা দিশাই এসব বৈঠকে জুলহাজসহ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার সরকারের উদ্বেগ আর উত্কণ্ঠার কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে আরো বড় ধরনের অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়। পাশাপাশি জুলহাজসহ সবগুলো হত্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের কথা জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি সন্ত্রাস দমনে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। আজ সোমবার সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করবেন। দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন।
নিশা দিশাই গতকাল দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে নাগরিক সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে মতামত জানতে চান। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে সরকার ও সরকারি সংস্থার পাশাপাশি সামাজিক ও নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পক্ষে মত দেওয়া হয়। সমাজের প্রতিটি শক্তিকে অভিন্ন ভূমিকা গ্রহণের কথা বলা হয়। বৈঠকে নাগরিক সমাজের পক্ষে রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, বদিউল আলম মজুমদার, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, লামিয়া মোর্শেদ, সাইফুল হক, তৌফিক খান প্রমুখ যোগ দেন।
বিকালে নিশা দিশাই মার্কিন দূতাবাসে কূটনীতিক ও কর্মকর্তা, নিহত জুলহাজ মান্নানের সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ‘টাউন হল বৈঠক’ বলে পরিচিত এই বৈঠকে নিহত জুলহাজের প্রতি শোক জানানো হয়। নিশা দিশাই সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় বলেন, জুলহাজ সাহস ও পরার্থপরতার মূর্ত প্রতীক। তার আদর্শ বেঁচে থাকবে কর্মের মধ্য দিয়ে।’ রাতে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন