রাজধানীর গুলশানে চালু হয়েছে বাংলার মিষ্টি
রেস্তোরাঁর ভেতরে মিলবে আর্ট ক্যাফে। যেখানে বসে মিষ্টির পাশাপাশি কফি, জুস, বার্গার, স্যান্ডউইচ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন বেকারি আইটেমও উপভোগ করা যাবে। বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেড’য়ের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এটি। প্রধান পরিচালক হিসেবে আছেন জিনাত চৌধুরী। দেশি সংস্কৃতির প্রসার ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা তুলে ধরার প্রয়াসেই বেঙ্গলের এই উদ্যোগ।
বেঙ্গল এক্সপ্রেসের কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার সাদিক উদ্দিন বলেন, “বিভিন্ন এলাকার প্রসিদ্ধ মিষ্টি ওই সব এলাকার বিখ্যাত কারিগরদের দিয়েই গুণগতমান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে বানানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি বেঙ্গলের নিজস্ব কারখানায় স্বাদ ও মান ঠিক রেখে মিষ্টিপ্রেমীদের চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। আর মিষ্টিগুলো শীততাপ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত আমাদের নিজস্ব পরিবহনে করে আনা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলার মিষ্টির লক্ষ্যই হল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সব মিষ্টি ঢাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
এখানে প্রতি কেজি মিষ্টির দাম চারশ টাকা থেকে সাড়ে নয়শ টাকা। পাওয়া যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত রসকদম, পাতাপ্যাড়া, প্রাণহরা, সাদা তিলকদম, কালো তিলকদম, অবাক সন্দেশ ইত্যাদি।
রাজশাহীর পোস্তকদম, কাটারিভোগ, ডিমভোগ। নাটোরের ইলিশ পেটি, কাঁচাগোল্লা।
ফরিদপুরের পাতা সন্দেশ, সন্দেশ, বরফি। রাজবাড়ীর চমচম ও বরফি সন্দেশ। টাঙ্গাইলের বড় চমচম।
নওগাঁর কাটারিভোগ, খেজুর সন্দেশ ও লাড্ডু। বগুড়ার দই, ক্ষীরশা। পাবনার ইলিশ পেটি, বট ফল, বাদামি বরফি।
যশোরের পেস্তা সাদা সন্দেশ, মাছ প্যাড়া। জামতলার রসগোল্লা। সাতক্ষীরার ক্ষীর সন্দেশ, গুড়ের সন্দেশ ও সাদা সন্দেশ।
নেত্রকোনার বালুশাহি, বালিশ মিষ্টি। ময়মনসিংহের চিনি, গুড় ও খেজুর গুড়ের মণ্ডা। বরিশালের গুতিয়া সন্দেশ, সরের সন্দেশ, চিনি সন্দেশ, ছানা।
এছাড়াও আছে লালমোহন, কাঁচাগোল্লা, কাঁচা ছানা, ছানার জিলাপি, ভোগ সাগর, সাদা চমচম, মিহিদানা লাড্ডু, ক্ষীর টোস্ট, মালাই সর, সরের মালাই, মালাই চপ, শাহি ভোগসহ আরও অনেক কিছু।
রেস্তোরাঁয় বসে খেতে চাইলে দাম হবে মিষ্টির ধরন অনুযায়ী। আর্ট ক্যাফেতে খাবারে অন্যান্য খাবারের দাম শুরু হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে, সর্বোচ্চ ৮শ’ টাকা।
এখানে ৪৫ জনের বসার ব্যবস্থা আছে, আছে ওয়াইফাই।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন