তদন্ত কমিটির মূল রিপোর্ট ফাঁস ভিডিও ক্লিপে নারায়ণগঞ্জে তোলপাড়
সাস নিউজ২৪ ডট কম : সেই শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত নিয়ে একটি বিশেষ মহল ও সরকারের অভ্যন্তরের বামপন্থী নেতৃবৃন্দ এবং বামপন্থী মিডিয়ার বিরুদ্ধে প্রকৃত সত্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। যাকে নিয়ে দেশের শিক্ষক ,সুশীল সমাজ, মিডিয়া আর সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সহ মর্মিতার কোন শেষ নেই, খোদ শিক্ষা মন্ত্রী যার পাশে থাকার ঘোষনা দিয়েছেন, সেই প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি এবার নগদ ১ কোটি টাকা এমপি সেলিম ওসমানের কাছে দাবী করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকেই তিনি এই কোটি টাকা দাবী করে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি)’র যে তদন্ত কমিটির মূল ও প্রকৃত রিপোর্ট আড়াল করে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান নিজেই স্বীকার করেছেন তারা ঘটনাস্থলে উপিস্থিত ২৬জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তার মধ্যে ২০জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে বলা কটুক্তি শুনেছে ,বাকি ৬জন শ্রেণীকক্ষে হট্টগোলের জন্য শুনতে পাননি। অথচ, এই তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আনিত ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, কান ধরে উঠ-বস করার ঘটনার পরপরই গঠিত প্রথম তদন্ত কমিটির সামনেও ঐ দিনের ঘটনায় উপিস্থিত শিক্ষার্থী ও শ্রেনী শিক্ষকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রমাণ পাওয়া গেছে ঐ দিন প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত আল্লাহ ও ইসলাম নিয়ে চরম কটুক্তি করেছিলেন। পাশাপাশি মারধরের শিকার ছাত্র রিফাত হোসেনকে এলাপাথারি আঘাত করে সজ্ঞাহীন করে ফেলেছিলেন এই প্রধান শিক্ষক।
মাউশি’র তদন্ত কমিটির ভিডিও হস্তগত হওয়া এই ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, মাউশি’র তদন্ত কমিটির প্রধান আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, তদন্ত কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছামাদ, বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আ ক ম নুরুল আমিন রাত ১২টার দিকে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল কালামের কক্ষে বসে আছেন। সেখানে তাদের মধ্যে হওয়া কথাবার্তার সারাংশ হল-
মোহাম্মদ ইউসুফ :-আমরা বিচার বিভাগীয় কোন লোক না। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত হওয়ার কোন সুযোগ নাই….
বন্দর থানার ওসি:- না খুব কম। কারণ এই জায়গায় কোপানো হয় নাই। জরুরী কোন আঘাত হয় নাই।
মোহাম্মদ ইউসুফ :-এই ঘটনায় ফৌজদারী ওই ভাবে সরাসরি নাই…আমি কি ঠিক বলছি না ভাই?
বন্দর থানার ওসি:- ছাত্রদের কী বক্তব্য…
মোহাম্মদ ইউসুফ :-ছাত্রদের বয়ান নিয়েছি। যেই ছেলেটা ভিক্টিম, সেই তো ভিক্টিম। সে বলেছে, এই এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেখানকার ২৬জন ছাত্রের স্বাক্ষ্য নিয়েছি,এর মধ্যে ২০ জন বলেছে তারা ওই কথা শুনেছে (আল্লাহ কে নিয়ে কটুক্তি) বাকী ৬জন বলেছে তারা হট্টগোলের জন্য শোনেনি।
মোহাম্মদ ইউসুফ :-কি করি বলেন তো ভাই ?
বন্দর থানা ওসি:- আপনারা স্যার মানুষ, যেটা তদন্তে ন্যায় হবে সেটাই করবেন।
মোহাম্মদ ইউসুফ :-আমরা তো প্রকাশ্যেই তদন্ত করেছি, সবকিছুই পয়েছি।
বন্দর উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও’র) নির্দেশে গঠিত
প্রথম তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যের ভিডিও
এই তদন্ত কমিটি টি বন্দর ইউএনও মৌসুমী হাবীব এর নির্দেশে গঠিত হয়েছিল। ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব আ.ক.ম নুরুল আমিন (যিনি পরবর্তীতে মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটিরও সদস্য ছিলেন), থানা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ও থানা পশু সম্পদ কর্মকর্তা। শ্রেণীকক্ষে ওই তদন্ত চলাকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা, শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষক জনাব উত্তম স্যার ব্যতিত অন্য কেউ ছিলেন না। এই ভিডিও ক্লিপটি আমরা একজন সচেতন ছাত্রের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি।
ভিডিও ক্লিপের মূল অংশ
উপজেলা শিক্ষা অফিসার(বন্দর) জনাব আ ক ম নুরুল আমিন :- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে প্রধান শিক্ষক কখন এ কথা বলেছেন? (শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন)
শিক্ষার্থী:- চতুর্থ ক্লাশের সময় যখন হৈ চৈ হচ্ছিল তখন উত্তম স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। ওনি (প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি) এসে মেয়েদের কর্ণারে গিয়ে বলেন, তোরা কীভাবে ভদ্র হবি? তোরা কীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করবি? তোদের আল্লাহ নাপাক, তোরাও নাপাক। পরে আমরা উত্তম স্যারকে গিয়ে বলি স্যার (শ্যামল কান্তি) এইডা কি বইলা গেল?
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (বন্দর) জনাব আ ক ম নুরুল আমিন :- উত্তম বাবু এটাকি ঠিক?
উত্তম স্যারঃ- স্টুডেন্টরা ইন দ্যা মিন টাইম ওরা উত্তেজিত হয়ে পড়ল, আমাকে জানায় স্যার হেড স্যার এটা কী বলে গেল? স্টুডেন্টরা আমাকে তাৎক্ষণিক ভাবে জানায় যে, হেড স্যার আল্লাহ নাপাক এ কথাটি বলেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছি তোমরা কি ভুল শুনেছো? কারণ ক্লাস টিচার হিসেবে আমি দেখেছি পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে। ওরা শুনেছে(ছাত্র-ছাত্রীরা) এবং আমার কাছে তাৎক্ষণিক ভাবেই বলেছে। ওরা(ছাত্র-ছাত্রীরা) পরে বলে নাই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার(বন্দর) জনাব আ ক ম নুরুল আমিন :- আমরা প্রকাশ্যে স্বাক্ষী নিয়ে বুঝেছি, হেড মাষ্টার ছেলে মেয়েদের যে মূহুর্তে এ কথাটি বলেছে, তখন আপনি ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন এবং ছেলে মেয়েরা সবাই শুনেছে। আপনি হেড মাষ্টারকে কী বলেছেন?
উত্তম স্যার:- আমি হেড মাষ্টারকে বলেছি, স্যার আপনি কি বলছেন, আপনার কী সেন্স ঠিক আছে? ওরা যেহেতু তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে, তাই ঘটনাটি সত্য বলেই মনে হচ্ছে। কারণ শিক্ষার্থীরা পরে বলেছে বা সাজানো নাটক সেটা কিন্তু না।যদি উনি এটা বলে থাকেন অবশ্যই খারাপ কাজ করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার(বন্দর) জনাব আ ক ম নুরুল আমিন:- তোমাকে কোথায় কোথায় আঘাত করেছে? ( রিফাতকে তদন্ত কমিটি)
রিফাতঃ- আমার শার্টের কর্লার ধরে ঘারে পিঠে পেটে ও বাম পাশের পাজরের নিচে আঘাত করলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর রিফাত জানায় অজ্ঞান হওয়া আগে মারের চুটে সে আল্লাহ্ গো খোদা গো বলে চিৎকার করার কালে হেড স্যার আবারও তোদের আল্লাহ্ নাপাক তোরা নাপাক সহ ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেন। রিফাত বাড়ি যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেননি প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি। তাকে জোর করে অপর ছাত্রকে দিয়ে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট আনিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। এই ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে যে, এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কোথায় গেল? প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ও স্ত্রী সবিতা রানীর সাথে সেলিম ওসমানের কথোপকথনের অডিও ৩০ মিনিটের অডিও রেকর্ড এর মূল অংশ
শ্যামল কান্তি ভক্ত: স্যার আপনি যাওয়ার পূর্বে আমাকে বেদম মারধর করে। আমি দেখে ছিলাম দরজা আটকানো অবস্থায় ওরা ধাক্কাধাক্কি করছিল পিটাপিটি করছিলো যে আমি হেড মাস্টারের লাশ চাই নয়তো পদত্যাগ চাই।
সেলিম ওসমান: এখন তো একটা তদন্ত কমিটি হইছে। তদন্ত কমিটি দেখছে। আমিও একটা তদন্ত কমিটি বানিয়ে আসছিলাম। আপনি তো আমার কাছে একটা আবেদন করেছেন।
সেলিম ওসমান: দাদা আপনার পাপের যত বোঝা আছে এখন আমার কান্ধে দিয়ে দিছেন।
শ্যামল কান্তি: আমাকে একটু বলতে দেন স্যার। আপনাকে যেভাবে পাপী বলা হয়েছে সেভাবে আমার মুখ থেকে একবারও এক সেকেন্ডের জন্য এ কথা বেরুয় নি। এখন পর্যন্ত কেউ বের করাতে পারে নাই।
সেলিম ওসমান: সেটা কথা না দাদা। আমি যেটা করছি সেটাতো আপনাকে সেখান থেকে উদ্ধার করার জন্য করছি দাদা। আপনাকে অপমান করার জন্য না। আমি যাওয়ার পর যখন ভেতরে গেছি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি তখন তো আপনি উল্টাপাল্টা বলছেন আপনার কথায় কোন ব্যালেন্স ছিল না।
কথোপকথনের এক পর্যায় কথা বলেন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সবিতা রানী
সবিতা রানী: আমার স্বামী বলেছে আপনি(সেলিম ওসমান) না আসলে বাঁচাতো না। আর ৫ মিনিট পরে আসলে মারাই যাইতো। এই কথাও বলছে।
সেলিম ওসমান: তাহলে আমার উপরে দিয়া কত বড় বিপদটা গেছে বুঝেন?
সবিতা রানী: হ্যা বুঝতে পারছি। আমরা খুব খুশি স্যার। আপনে না থাকলে ওই দিন আরও বেশি সমস্যা হইয়া যাইতো। পুলিশরাও আমার কাছে বলছে যে বৌদি যদি স্যার(সেলিম ওসমান) না আসতো তাহলে দেখতেন যে ওরা ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করে ফেলতো। এ কথাও বলছে যে পুলিশরে ওরা( স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনগন) ঠেকায় দিছে।
সেলিম ওসমান: ঠিক আছে। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও বিপদে পইড়া গেছি আমার জন্য দোয়া করবেন।
সবিতা রানী: না স্যার দোয়া করবোন না কেন। আপনিও ভাল থাকেন আমরাও ভাল থাকি।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সাথে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও তার স্ত্রী সবিতা রানীর প্রায় ৩০ মিনিটের মোবাইলে এই কথোপকথনে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত তাকে মারধরের বিবরণ দেন এবং প্রধান শিক্ষক নিজে এবং উনার স্ত্রী জীবন বাঁচানোর জন্য সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদেরকে দেখে রাখতে নিরাপদে রাখার অনুরোধ করেন।
সেলিম ওসমান এমপি’র সাথে শ্যামল কান্তির ফোনালাপ
গত ১৯শে মে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত সেলিম ওসমানের প্রেস কনফারেন্সের মাত্র ২০মিনিট আগে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে শ্যামল কান্তি নিজেই (০১৮৩৩০৮৩৬৪৪) নাম্বার থেকে এমপি সেলিম ওসমানকে ফোন করেন। ৯ মিনিটের ঐ কথোপকথনের মূল অংশ।
সেলিম ওসমান: আমি সুস্থ্য হোন, পরিবারের দায়িত্ব নেন। আপনি কন্যা দায় গ্রস্থ বাবা। আমি চাই আপনি আপনার মেয়েদের বিয়ে দেন। এদিকে এব্যাপারে সেলিম ওসমান জানান, যেসব তথ্য প্রমাণ আপনার কাছে আছে সেগুলিই তো প্রমান করে ঘটনা কি হয়েছে আর কি চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এসব তথ্য প্রমান থাকার পরেও কে বা কারা কাদের স্বার্থে রিপোর্ট পাল্টে ফেলা হয়েছিল। তারপরও বলছি, প্রয়োজনে আরো উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে যেভাবে খুশি আপনারা তদন্ত করুন। যদি প্রমাণিত হয় প্রধান শিক্ষক মহোদয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কে কটাক্ষ করে কথা বলেনি, তাহলে আমি আপনাদের উপস্থিতিতে ওই এলাকায় ঐ একই স্থানে সকল মানুষের সামনে দাড়িয়ে, সকল গণমাধ্যমের সামনে দাঁিড়য়ে আমি একবার না, একশ একবার হাতজোড় করে ক্ষমা চাইবো। তবে যদি প্রমাণিত হয়, ওই শিক্ষক আল্লাহকে কটাক্ষ করেছেন, ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত করেছিলেন,তবে আমি আগেই হাত জোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি আমার সকল মুমিন মুসলমান ভাইদের কাছে। কারণ, ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, ইসলাম ক্ষমা পছন্দ করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি , যে ওই ভদ্রলোক শিক্ষক মহোদয় ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে যে অপরাধ করেছেন, হয়তো ধর্মীয় দৃষ্টিতে ওনার ততটুকু বিচার হয়নাই। কিন্তু যতটুকুই হয়েছে আমার মনে হয় যথেষ্ট হয়েছে। সামনে পবিত্র রমজান মাস, আল্লাহর ওয়াস্তে একটা ব্যাক্তির জন্য যাতে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি অথবা কোন ধরনের অশান্তির সৃষ্টি না হয়, আমি আপনাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে শ্যামল কান্তিকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি জানান, আমি ব্রেইন স্ট্রোকের মানুষ। কখন কি বলি মনে থাকে না। তবে এটা সত্য এমপি স্যার আমাকে বাচাইছে,উনি আমাকে অসম্মান করে নাই। এসব কথা বলে উনি ফোন কেটে দেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এই অর্থ চাওয়ার কথোপকথনের অডিও ক্লিপও সংগৃহীত হয়েছে। ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১মে শ্যামল কান্তি ০১৭১২০৮০৫৮২ নম্বর সাথে সেলিম ওসমান এমপি’র প্রেস সচিব বিশ্বজিৎ দাসকে সকাল ৮:৫৪ মিনিটে ফোন করেন। উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে শ্যামল কান্তির চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করা সেলিম ওসমান তার প্রেস সচিবকে শ্যামল কান্তির সার্বিক দেখভাল ও খোঁজ খবর রাখার দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন।
ফোনালাপের মূল অংশ:
শ্যামল কান্তি: কি বলবো ‘বাবা’ আমি তো ফ্যাসাদ ফোসাদ গন্ডগোল মন্ডগোল চাই না। স্যারে কি করবে কি করবে না আমি জানি না। স্যারের সাথে একটি আলাপ করে দেখতে পারেন।
বিশ্বজিত: কি আলাপ করবো স্যার।
শ্যামল কান্তি: উনি তো আমাকে সহনাভুতি জানিয়ে ছিলেন যে, তিনটি মেয়ে একটি প্রতিবন্ধী। তিনটি মেয়েই তো বিবাহ যোগ্য। আমাদের হিন্দুদের মধ্যে বিয়ে দিতে গেলে তো ত্রিশের(৩০) নিচে হয় না। তো তিন ত্রিশের ৯০ আর ওর চিকিৎসার জন্য ১০। এডা হিসাব কইরা আমি চাচ্ছিলাম। আমি তখন বুঝাইয়া বলতে পারি না। এখন স্যারকে যদি বুঝাইয়া বলতে পারেন। আর যদি মনে করে ওই শালা আমাকে ব্লেম করতেছে তাহলে তো আর আমার কিছু করার নাই। আমি খুব নীডি মানুষ এখন ফয়সালা করে দিতে বলেন একেবারে।
বিশ্বজিত: মানে ৩ মেয়ের বিয়ে জন্য ৩ ত্রিশে ৯০ লাখ আর চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ এই ১ কোটি টাকার কথাই তো আগে বলে ছিলেন।
শ্যামল কান্তি: হ্যা হ্যা
বিশ্বজিত: ও স্যার আপনিও আগে বুঝাইয়া বলতে পারেন নাই। আমিও বুঝি নাই।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন