নিউজ ডেস্ক :মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে বিদেশ ফেরত লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের জেবি রোডের সোহেল রানা ২০১৫ সালে ছোট্ট পরিসরে শুরু করেছিলেন কোয়েল পালনের খামার। সময়ের ব্যবধানে আজ তিনি একজন সফল খামারি। ২০০ কোয়েলের মাধ্যমে শুরু করা ছোট্ট একটি খামার থেকে আজ গড়ে উঠছে ৩ টি খামার । যেখানে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী কোয়েল পালন করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি মাসে তিনি সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার টাকা আয় করছেন।
সোহেল রানা জানান, পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে ঘুরতে ঘুরতে পরে বিদেশে পাড়ি জমাই কিন্তু পরবর্তীতে সেখান থেকে দেশে ফিরে আসি এবং কোয়েল পালন শুরু করি। নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে তা বাজারে বিক্রি করি। বর্তমানে আমার খামারে প্রায় ৫ হাজার পাখি আছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, কোয়েল পাখির গোশত সুস্বাদু হওযভয় লক্ষ্মীপুরের বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে বেশ। বর্তমানে ৫টি শেডে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি কোয়েল পাখি রয়েছে। খামার থেকে এখন প্রতি মাসে দুই থেকে আডভই হাজার ডিম এবং প্রায় দুই হাজার পাখি বিক্রি উপযোগী হচ্ছে। ৪২ দিনের মাথায় ডিম দেওযভ শুরু করে এবং টানা ১৮ মাস ডিম দেয়। প্রতিটি ডিম আড়াই টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু একই পরিমাণ ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পাওযভ যায়। মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জোবায়ের হোসেন জানান, কোয়েল পাখির রোগ-বালাই কম এবং সুস্বাদু হওযভর কারণে এটির চাহিদা থাকায় লাভবান হওযভ যায় খুব সহজে। বেকার যুবকদের সোহেলের মতো উদ্বুদ্ধ হয়ে কোয়েল পালনের পরামর্শও দেন এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন