আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যায় ডুবে যাওয়া ৩৮ জেলার কৃষকরা আমন চাষ করতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে আছেন। আবহাওয়া অধিদফতর ও পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী, আগস্টের শেষে আবারও বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে অনেক কৃষক আমনের আবাদ করতে পারবেন না।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমন ধান করতে হলে চারা রোপণের উত্তম সময় হলো শ্রাবণ মাস। দেশের উঁচু জায়গাগুলোতে আমনের চারা রোপণ প্রায় শেষ দিকে। বন্যার পানি নামতে নামতে যদি ভাদ্র মাসের অর্ধেক সময়ও চলে যায় তাহলে কোনোভাবেই আমনের আবাদ করা সম্ভব হবে না।
বগুড়া জেলার উল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক হেলাল খাঁ বলেন, আমনের চারা শ্রাবণ মাসেই রোপণ করতে হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় যে গতিতে পানি নামছে, আবার আগস্টের শেষে ফের বন্যার কথা শুনছি, এমন হলে তো এবার আর আমন ধান চাষ করার মতো পরিস্থিতি থাকবে না।
এছাড়া অধিকাংশ কৃষকের আমনের বীজতলা ডুবে গেছে। এমন অনেক কৃষক আছেন, যাদের পক্ষে বীজ (আমনের চারা) কিনে আমন ধান চাষ করা সম্ভব নয়। এসব কৃষক খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন।
হেলাল খাঁ বলেন, ধার-দেনা আর দোকান থেকে সার বাকি নিয়ে ছয় বিঘা জমিতে আউশ ধান করেছিলাম। চোখের সামনে বন্যার পানিতে তা ডুবে গেল। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। ওই ধান থাকলে এখন তা পেকে যেত। ধান কেটে আবারও আমন ধান চাষের প্রস্তুতি নিতাম। কিন্তু এখন সব শেষ। আমনের বীজতলাও ডুবে গেছে। ফলে এবার আর কোনোভাবেই আমন চাষ করা সম্ভব হবে না।’
বগুড়া জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার উল্লাপাড়া, চরপাড়া, ফকিরপাড়া, শৈলমারী, নলডাঙ্গা, এলাঙ্গী, গোসাইবাড়ী, ভান্ডারবাড়ী, শিমুলবাড়ী; শেরপুর উপজেলার শালপা, গজারিয়া, রোরৈতলী, বোয়ালকান্দিনহ ধুনট এবং শেরপুর উপজেলার ২০ ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল পানির নিচে। এ পানি কত দিনে নেমে যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে আমনের আবাদ নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন