(0) মন্তব্য
কোন মন্তব্য নেই!
কোন মন্তব্য নেই!
সাস নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহী...
সাস নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে বৃহৎ শক্তি এবং তাদের...
আমাদের নিউজলেটার যোগ দিন এবং আপনার ইনবক্সে আপডেট পেতে। আমরা আপনাকে স্প্যাম না এবং আমরা আপনার সম্মান করা হবে গোপনীয়তা।
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link to create a new password.
সাস নিউজ ডেস্ক : ভারতে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় হিজাব ও লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক নিষিদ্ধের নীতিমালা বহাল রেখেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তিন মুসলিম ছাত্রী ও একটি ইসলামী ছাত্র সংস্থার আবেদন নাকচ করে গত শুক্রবার আদালত এ নির্দেশ দেয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাপক নকল ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের পোশাকের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করে দেশটির মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের ছোট বোতামের হাফ-হাতা পোশাক পরে আসতে হবে। মাথার চুলে পিন বা ব্যান্ড ব্যবহার করা যাবে না। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের খোলা স্লিপারওয়ালা জুতা পরতে হবে। পরীক্ষার হলে আনতে পারবে না ক্যালকুলেটর, কলম, হাতব্যাগ বা ওয়ালেট।
আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন, নতুন এই নীতিমালা মুসলিম রীতির বিরোধী। ইসলামী নিয়মানুযায়ী জনসম্মুখে নারীদের সবসময়ই পর্দা রক্ষা করতে হবে।
বিষয়টি বিবেচনা করে মুসলিম মেয়েদের জন্য হিজাব ও লম্বা হাতাওয়ালা জামা পরে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। একই সঙ্গে এক্ষেত্রে সম্প্রতি কেরালা হাইকোর্ট দুই মুসলিম মেয়েকে হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে অনুমোদন দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান বিচারক এইচ এল দত্ত, বিচারক অরুণ মিশ্র ও অমিতাভ রায়ের বেঞ্চ বলেন, পরীক্ষায় অস্বচ্ছতা ঠেকাতে শিক্ষা বোর্ড এই নিয়ম করেছে। এটা তো মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যাপার। যারা হিজাব পরেন তারা পরীক্ষার সময়টুকু শুধু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পোশাক পরবেন। এর আগে ও পরে হিজাব পরতে কোনো বাধা নেই।
আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় হেজ বলেন, এই নীতি ইসলামবিরোধী। এর ফলে অনেক মুসলিম মেয়েই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
এর জবাবে বিচারকরা এটাকে স্রেফ ‘ইগো ইস্যু’ (আত্মসম্মানের প্রশ্ন) হিসেবে উল্লেখ করে আবেদন খারিজ করে দেন।